মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

আমি বেশ্যার মুখে শুনছি ধর্মের বাণী ।

ওস্তাদ আমি তখন ইন্টারমিডিয়েটের স্টুডেন্ট। মফস্বল থিকা শহরে আসছি উচ্চশিক্ষার জন্য। কিন্তু আমার মন পইড়া থাকতো কেবল নারীর শরীরে। সবসময় ক্যাম্পাসের মেয়েদের শারীরিককাব্য পড়তাম। আর ফিল নিয়া শারীরিক ব্যাকরণ কল্পনা কইরা খ্যাঁচতাম! লাগানোর মাইয়া আছিলোনা। মাথায় পেরেক মাইরা গাঁথা ছিলো শুধু একটাই, লাগাইতে হবে। চাইলেইতো আর লাগানো যায় না! মাইয়াও পাইতে হবে! কিন্তু লাগানোর মতন মাইয়া আমার কপালে নাই! হতাশা বাড়তো অশান্তি লাগতো চোখে মুখে বিরক্তি থাকতো চরমে!

একদিন এক বন্ধু হোটেলের খবর দিলো। আল-করিম, সেকান্দর, সিলটনসহ সিনেমা প্যালেসের আশেপাশে আরো দুইএকটা হোটেলে টাকা দিয়া মাইয়া লাগানো যায়! কোয়ালিটিরও নাকি ভেরিয়েশন আছে। কেমন ভেরিয়েশন? - জানতে চাইলে কইলো, স্কুল কোয়ালিটি, কলেজ কোয়ালিটি এবং ভার্সিটি কোয়ালিটিসহ আরো আছে আদিবাসী।
কিন্তু তখনও ওস্তাদ আমার সাহসে কুলাইতেছিলোনা হোটেলে গিয়া মাইয়া লাগাইতে! আর জানিওনা কতো টাকা লাগে লাগাইতে! মাথায় শুধু ওস্তাদ তখন আমার একটাই বিষয়, হোটেলে কেমনে যাবো কার লগে যাবো!
ফিকির করলে যে সবই মিলে- কথাটা সত্য বইলা মনে হইলো যখন বন্ধু বাবু রবিন নামের একজনের লগে পরিচয় করায়ে দিলো। তারলগে একদিন নিউ মার্কেট মোড়ে আড্ডা-ফাড্ডা দিলাম। আড্ডার মূল বিষয় ছিলো লাগানো, টাকা এবং সেইফটি।
সে কইলো, এক শট দুইশো এক নাইট একহাজার টাকা।
স্টুডেন্ট মানুষ! একহাজার টাকা মাইয়া লাগানোর জন্য ম্যানেজ করা অসম্ভব। দুইশো টাকা হয়তো ম্যানেজ করা যাবে।
টাকা জামানো শুরু করলাম। একসাপ্তাহের মধ্যে তিনশো টাকা ম্যানেজ করলাম ওস্তাদ। বাসে যাওয়া আসা বিশ। মাইয়ারে বকশিস দিবো বিশ। বাদবাকি যে টাকা থাকবে তা দিয়া আমি আর রবিন নাস্তা খাবো।
ঠিকঠাক প্ল্যান মাফিক সেকান্দরে গেলাম। এক অসাধারণ উত্তেজনায় শরীর কাঁপা শুরু করলো! চিপা একটা গলি দিয়া উপরে উঠলাম। দেখলাম ওস্তাদ, একটা রুমের মধ্যে ২০-২৫জন মেয়ে সেজেগুজে বসে আছে। কেউ ব্রা পইড়া দুধ আর কেউ হাফ প্যান্ট পইড়া রান দেখাই রইছে। আমার মতন কাস্টমাররা পছন্দ কইরা আলাদা আলাদা রুমে নিয়ে যাচ্ছে লাগানোর জন্য ।
আমিও একটা মাইয়া পছন্দ করলাম। রবিনরে অন্যএক মাইয়া কইলো, ছোটপোলা এই বুড়ি বেটিরে চুদতে পাইরবো! আরেক মাইয়া কইয়া উঠলো, কিয়ের বেটি বেটা এইডা ছোটলাগের! ধোনের দিকে দেখ! চোদার জন্য ধোন কিরম খাড়াইরইছে!
মাইয়াদের টিপ্পনী খাই মাইয়ারে লইগেলাম আলাদা রুমে। রবিন বাইরে অপেক্ষা করছে। রুমে ঢুইকা মাইয়া দরজা আটকাইয়া কয় আগে ট্যাহা দাও। তারপর কাপড় খুলুম। আমি কইলাম, একটু কথা কই আগে তারপর টাকা দিবো। মাইয়া কয়, এইটা কথা কওয়ার জায়গা না এইটা স্রেফ চোদনের জায়গা! ট্যাহা দিবা কাপড় খুলুম চুইদা মাল ফেলাইয়া চইলা যাবা! এইখানে কিয়ের বালের পিরিতির কথা!
আমি ওস্তাদ ভড়কাই গেলাম মাইয়ার মুখে এই কথা শুনে! তাড়াতাড়ি টাকা বাইর কইরা মাইয়ারে দিলাম। মাইয়া একটানে আমার প্যান্ট খুইলা ফেললো। তারপর নিজের কাপড় খুইলা বিছানায় শুইয়া পড়লো পা দুইটা উপরে তুইল্লা। কইলো, ধোন খাড়াইছেতো এইবার হালকা ছেপ লাগাই ট্যাইলা দাও! মাল ফেলাইয়া বিদায় হও আরো বহুত কাস্টমার ওয়েট করছে!
আমি কইলাম, অস্তির হইতাছো ক্যান। একটু সময় দাও। কথাবার্তা কই। বকশিস দিবোতো! মাইয়া কইলো, এইডা আগে কইবানা!- বইলা মাইয়া শোয়া থিকা উইঠা বসলো।
আমি জিগাইলাম, কী নাম তোমার?
মাইয়া কয়, কলি।
ধোন মুখে নিয়া চুইষা দিবা?
-ছিঃ আল্লাহ গুনা দিবো। বেটা মাইনষের ধোন মাইয়াদের মুতনের জায়গায় ঢুকে। এইটা মুখে নিলে আল্লাহ গুনা দিবে।
আমি বেশ্যার মুখে আল্লাহর কথা শুইনা মোটামুটি বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা খাইলাম! তারপর নিজেরে ঠিক কইরা পালটা জিগাইলাম, পাছা দিয়া ঢুকাইতে দিবা?
-আরে না। এইটাতো আরো বড়গুনা! আমি যদি বকশিস নিয়া তোমারে পাছা দিয়া চুদতে দিই তাইলে রোজ হাশরের ময়দানে আমি ছেলে হয়ে যাবো! ছেলেরা ছেলেরাই শুধু পাছা দিয়া চোদাচুদি করে! মাইয়া মাইনসের পাছা দিয়া চোদা বহুত বড় গুনা! আরে ভাই আউল ফাউল কথা রাখেন! চুদলে চুদেন নইলে কিন্তু গেলাম!
ওস্তাদ আপনারে আইজ এই কথা বললাম কারণ আইজ ফেইসবুকে দেখলাম এক মাইয়ামডেল টিপ নিয়া ফতোয়া দিছে! সেই ফতোয়া শুইনা আইজ থিকা ম্যালা বছর আগের সেই বেশ্যার কথা মনে পইড়া গেলো আমার! যে আমারে ধর্মের দোহাই দিয়া ধোন চুষে এবং পাছা দিয়া চুদতে দে নাই!
ক্ষ্যাপারে কইলাম, ক্ষ্যাপাচোদা একটা কথা সারাজীবন মনে রাখবি, যারা ধর্মরে ব্যবহার কইরা নিজেদের অপরাধ এবং আকাম কুকাম ঢাকতে চায় তারা ধার্মিক নয়; তারা ভন্ড নয়তো বেশ্যা।
ক্ষ্যাপা কইলো, ওস্তাদ আসলেতো ঠিকই! তারা ভন্ড নয়তো বেশ্যা!

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

।♥ক্ষ্যাপাচোদার সংসার♥।

ক্ষ্যাপার বান্ধবী আইছে শহরে। উঠছে পরিচিত একজনের বাসায়। তারা একটা গ্রুপ হই আসছে ঘুরতে।
সেদিন ক্ষ্যাপা অফিসে আছিলো । অফিস থিকা ক্ষ্যাপা বউরে ফোন দিয়া কইলো, বউ বান্ধবী আইছে । অফিস থিকা যাওয়ার সময় মিট কইরা আড্ডা-ফাড্ডা মাইরা বাসায় আসবো। বউ গাল ফুলাইয়া কইলো, কি দরকার বান্ধবীর লগে দেখা করার ! বাসায় চইলা আসো।
ক্ষ্যাপা বুঝতে পারলো, দেখা কইরা বাসায় ফিরলে খবর আছে ! ক্ষ্যাপা ঐদিন দেখা না কইরা বাসায় ফিরা গেলো।
পরেরদিন ক্ষ্যাপার একটা বিজনেস মিটিং আছিলো। বাসা থিকা বাইর হইছে দুইটার দিকে। ক্ষ্যাপা যাওয়ার সময় বউরে কইলো, মিটিং সাইরা ফিরতি পথে আড্ডা-ফাড্ডা মাইরা বাসায় আইতে লেইট হবে। ক্ষ্যাপার বউ গাল ফুলাইয়া রইলো- ক্ষ্যাপার কথা শুইনা। ক্ষ্যাপা চোদেনা মোর ভালোবাসা- টাইপ ভাব দেখাইয়া বাসা থিকা বাইরহইগেলো !
ক্ষ্যাপা মিটিং সাইরা বান্ধবীর গ্রুপের লগে মিট করলো। তারা একটা টং
দোকানে আড্ডা-ফাড্ডা আর চাবিড়ি খাই সিদ্ধান্ত নিলো নদীতে যাবে নৌকা লই ঘুরতে । লগে হুইস্কি থাকবে।
নদীতে ভাইবেরাদারদের লগে আড্ডা ফাড্ডা দিয়া ক্ষ্যাপা বাসায় ফিরলো সন্ধ্যা আটটার দিকে। বউয়ের গাল ফুলানো! কথাবার্তা বন্ধ।
ক্ষ্যাপা মোবাইল চার্জে লাগাই ওয়াশরুমে ঢুকলো গোসল দিতে। বউ ক্ষ্যাপার মোবাইলে তল্লাশি শুরু করলো। পাইলো, নদীতে বান্ধবী সমেত ভাইবেরাদারদের ছবি। এই যে শুরু করলো চিল্লাচিল্লি কান্নাকাটি শোরগোল! বন্ধই হয় না আর!
ক্ষ্যাপার রুমে চিল্লাচিল্লি শোরগোলের শব্দ শুইনা ক্ষ্যাপার মা ঢুকলো রুমে ক্ষ্যাপার বোন সমেত। ক্ষ্যাপার বউ, তাদের দেইখা আরো জোরে জোরে চিল্লাইতেছে, তুই ঐ বেটির লগে সেক্স করছস? ও কিসের তোর বান্ধবী? তুই না বলছিলি, তুই তারে বিয়া করতে চাইছিলি? এখন ক্যামনে তোর বান্ধবী হইলো? তুই ক্যান তার লগে মদ খাইলি? তুই তারে কয়বার চুদছস? পারফর্মেন্স ক্যামন তার? আমার চাইতে ভালা না খারাপ?
ক্ষ্যাপা কি উত্তর দিবে বুঝতে পারতাছেনা! ক্ষ্যাপাতো বান্ধবীরে চুদে নাই। চোদন রিলেটেড এতো প্রশ্নের উত্তর ক্যামনে সে দিবে!
ক্ষ্যাপার মা বোন বউয়ের মুখে এইসব শুইনা ক্ষ্যাপারে সমানতালে ঝাঁড়তে লাগলো । তোর একটা ছেলে আছে বউ আছে তারপরেও ক্যান তোর এতো বান্ধবী থাকবে? তুই ঘরে মদ খাইস ভালা কথা বাইরেও ক্যান তোরে খাইতে হবে? তোর জন্য আমাদের মুখ পোড়া যাইতাছেসহ আরো ম্যালা কিছু!
ক্ষ্যাপা সবাইরে বুঝাইতে চাইতাছে, ক্ষ্যাপা কোন ক্রাইম করে নাই। ক্ষ্যাপা স্রেফ বন্ধু-বান্ধবের লগে উইকেন্ডে এক বিকাল নদীতে মদ খাই সময় উপভোগ করছে মাত্র। এইটা মোটেও দোষের কিচ্ছু হইতে পারে না! ক্ষ্যাপার বউ চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া কইতাছে, আমাকে ক্যান বইলা গেলি না? ক্ষ্যাপা বউরে বুঝাইতে চাইতাছে, বউরে অনেক জায়গায় নেওয়া যায় কিন্তু সকল জায়গায় নয়। ক্ষ্যাপা আরো বুঝাইতে চায়, বিয়া করছে বইলা এই নয় যে, বউ বাচ্চা ছাড়া ক্ষ্যাপার আর কোন জগৎ নাই। কিন্তু বউ, ক্ষ্যাপার মা আর বোনের ত্রিমুখী গাইল্লানোর কাছে ক্ষ্যাপা কমপ্লিট অসহায়!
ক্ষ্যাপা বুঝতে পারছে, তার বউরে আর বুঝানো যাবে না। সে অলরেডি লস হার সেল্ফকন্ট্রোল।- এইটা বউরে কইতেই বউ পাল্টা কইয়া উঠলো, তুই মদ খাই সেল্ফকন্ট্রোল হারাই ফেলছস! ক্ষ্যাপা বারবার বউরে বুঝাইতে চাইতাছে, ক্ষ্যাপা নেশাগ্রস্ত হইলেও কখনোই সেল্ফকন্ট্রোল হারায় না। কিন্তু বউ মা আর বোনরে ক্ষ্যাপা এইটা বুঝাইতেই পারতেছেনা!
ক্ষ্যাপার মেজাজ বিগড়াই গেলো। ক্ষ্যাপা বুঝতে পারলো, বাসা বসবাসের অযোগ্য হইগেছে! ক্ষ্যাপা সিদ্ধান্ত নিলো বাসা থিকা বাইরই যাবে। ক্ষ্যাপা কাপড়-চোপড় পিন্দা যখন বাইরবে তখন ক্ষ্যাপার বউ বাচ্চারে কোলে নিয়া ক্ষ্যাপার লগে বাইর হইলো পিচুপিচু। ক্ষ্যাপা বাসার নিচে নাইমা এদিক সেদিক দেখলো কোন রিকশা আছে কিনা! কোন রিকশা নাই। রাত তখন বাজে সাড়ে এগারো কি বারোটা! ক্ষ্যাপা হাঁটা দিলো। পিছে পিছে হাঁটছে বউ বাচ্চা কোলে নিয়া।
সুনসান রাস্তা। ল্যাম্পপোস্টের সোডিয়াম আলোগুলো জ্যোৎস্নার আলো ছড়াচ্ছে। ক্ষ্যাপার ভাল্লাগছে। নেশার ফিলটা উপভোগ করতে পারছে সে! নেশা করার পর নেশার আফটার ইফেক্ট উপভোগ করতে না পারলে নেশা কইরা ফায়দা নাই- এইটা ক্ষ্যাপার প্রায়ই মনে হয়।
একটা রিকশা আইতেছে। ক্ষ্যাপা হাঁটা বন্ধ কইরা দাঁড়ালো রিকশার জন্য। বউ'ও হাঁটা বন্ধ কইরা দিয়া ক্ষ্যাপার পাশে দাঁড়িয়ে রইলো। ক্ষ্যাপা রিকশায় উইঠা বসলো। বউ বাচ্চা কোলে নিয়া দাঁড়িয়ে রইলো। ক্ষ্যাপা বেটা'রে কইলো, বেটা আয়। বাবার লগে রিকশায় শহর ঘুরবি। ক্ষ্যাপার বউ বাচ্চাসহ রিকশায় উইঠা বসলো।
রিকশা চলছে ফাঁকা রাস্তায়। রাস্তা একেবারেই ফকফকা ফাঁকা। ল্যাম্পপোস্টের সোডিয়াম আলোতে ফাঁকা রাস্তাগুলো অনেক সুন্দর হয় যায়। ক্ষ্যাপার বেটা মায়ের কোলে বইসা বাপের লগে চিল করতাছে! কি যে খুশি সে। মাঝরাতে রিকশায় ঘুরতে পাইরা! বাপরে সে জিগায়, বাবা বাবা ডুই ইউ লাইক বাস? ক্ষ্যাপা উত্তর দেয়, ইয়েস আই ডু ইয়েস আই ডু? বেটা বাপরে আবার বলে, বাবা বাবা আমাকে বলো, ডু ইউ লাইক ইউর ফাদার? ক্ষ্যাপা বেটারে কইলো, বেটা ডু ইউ লাইক ইউর ফাদার? বেটা দারুন উচ্ছ্বসিত হইয়া কয়, ইয়েস আই ডু ইয়েস আই ডু। ক্ষ্যাপা বেটারে জিগায়, বেটা তুমি কার ছেলে? বেটা উচ্ছ্বসিত হই কয়, মাম্মিবাবার ছেলে! ক্ষ্যাপা বেটারে একটু কচলাইয়া দিতেই বেটা মায়ের কোলে হেসে লুটোপুটি খায়!
রিকশাওয়ালারে ক্ষ্যাপা কয়, মাম্মা রিকশা ঘুরাইয়া বাসার দিকে লইযা। রিকশা ঘুরানোর সময় ক্ষ্যাপার চোখে একটা বিরানির দোকান পড়লো। ভাবলো, এক প্যাকেট বিরানি কিনা লই। বউ বাসায় গিয়া বিরানি খাইলে রাগ পইড়া যাইবো।
বাসায় ফিরা ক্ষ্যাপা শুইয়া পড়লো। সকালে ঘুম যখন ভাঙ্গে তখন বাজে সাতটা পঞ্চাশ! ক্ষ্যাপার অফিস আটটায়। ক্ষ্যাপা সাধারণত বাসা থিকা সাতটায় বের হয়। কিন্তু আইজ লেইট। কারণ বউ তারে ডাইকা তুলে নাই। বিয়ার পর ঘুম থিকা তুইলা অফিসে যাওয়ার লাইগা রেডি করানোর কমপ্লিট দায়িত্ব ক্ষ্যাপা বউরে দিয়া দিছে। এইযাবত বউ তাই কইরা যাইতাছে। কিন্তু আইজ ডিষ্টার্ব হইগেছে!
ক্ষ্যাপা দ্রুত কাপড়চোপড় পইড়া হাত মুখ না ধুই না খাই বাসা থিকা বাইর হই একটা সিএনজি নিলো। তাকে খুব দ্রুত অফিসে পৌঁছাইতে হবে। শিপম্যান্ট আছে। শিপম্যান্ট ফেইল করলে ক্ষমা নাই!
সিএনজিতে অফিসে যাওয়ার সময় ক্ষ্যাপা চিন্তা করছে, তার আসলে অপরাধটা কই! বান্ধবীর লগে মদ খাওয়া? নাকি বউরে না জানিয়ে বান্ধবীর লগে দেখা করা? নাকি বউরে লগে নিয়ে না যাওয়া? ক্ষ্যাপা প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর চিন্তা করে। তার কাছে কোনভাবেই মনে হয় না বউ থাকার পরেও কোন বান্ধবীর লগে বাড়িতে, নদীতে কিংবা বারে মদ খাওয়া অপরাধ । আর সব কিছু কী বউরে জানিয়ে বা বউয়ের পারমিশন নিয়ে করতে হবে?- অবশ্যই না। আর বিয়া করছে বইলা কি বউরে সব জায়গায় লগে লগে নিয়া যাইতে হবে ? বউ বাচ্চা সংসার ছাড়াও কী পুরুষের অন্যকোন কাজ-ফাজ আড্ডা-ফাড্ডা থাইকতে পারে না?- অবশ্যই পারে। তাইলে বউয়ের এতো চিল্লাচিল্লি শোরগোল কিয়ের জন্য? ক্ষ্যাপার মগজে ঢুকেনা! মাইয়া মাইনষের এমনিতেই মগজ কম থাকে আর সেই মাইয়া যখন বউ হইযায় তখন তার মগজ আস্তে আস্তে বিনাশ হইতে থাকে ! নয়তো ডিফেক্ট হইযায় !
ক্ষ্যাপার ফিলোসোফি কয়, বিয়া দুইজনের মধ্যে হইলেও মানুষ কিন্তু আলাদাই। প্রত্যেক মানুষের আলাদা আলাদা জীবন আছে । আলাদা আলাদা বন্ধু-বান্ধব ভাইবেরাদার আছে। যাদের লগে আড্ডা-ফাড্ডা দিলে মদ খাইলে দোষের কিচ্ছু নাই। নিজের জীবনকে উপভোগ করার অধিকার সকল মানুষের আছে।
ক্ষ্যাপা সিদ্ধান্ত নিলো, সে আর বাসায় ফিরবেনা। বাসা তার কাছে নরকে পরিনত হইছে। যেখানে আরাম আর উপভোগ্য জীবন নাই সেখানে ক্ষ্যাপা নাই। ক্ষ্যাপা আত্মগোপনে চলে যাবে।
কোথায় বউ বাচ্চা মা বোনের নজর এড়িয়ে লুকাই থাকা যায়? ক্ষ্যাপা জায়গা খুঁজতে লাগলো। এরে ফোন দেয় ওরে ফোন দেয়। কিন্তু লুকাই থাকার জায়গা আরামের পায় না। হঠাৎ কইরা ক্ষ্যাপার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের কথা মনে হইলো। তারে ফোন দিয়া বিস্তারিত কইতেই ছোট ভাইটা কইলো, গুরু ব্যাপার না। আইয়া পরেন আর লুকাইয়া আরামে থাকেন। এইখানে থাইকবেন খাইবেন চিল করবেন আর সকালে এইখান থিকাই অফিস করবেন। পরিস্থিতি অনুকূলে মানে আরাম এবং উপভোগ্য হইলে বাসায় ফিরা যাইয়েন। ক্ষ্যাপার টেনশন দূর হইলো।
ক্ষ্যাপা গতকাল অফিস কইরা রাইতে বাসায় ফিরে নাই। আত্মগোপনে ছিলো। আইজও বাসায় ফিরবে না। কবে ফিরবে ক্ষ্যাপা নিজেও জানে না!
ক্ষ্যাপার এখন মনে হইতাছে, বউ বইলা কোন শব্দ নাই বউয়ের আড়ালে সব বেটিই একেকটা স্বৈরাচার, সহিংস এবং ঝামেলাবাজ।

শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৯

যৌনাসক্তি

রবিন যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে তখন তার মামাতো বোন থাকে বলে, এই রবিন চোদাচুদি করবি? রবিন একটু হকচকিত হয়ে পরক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, হুম। করবো। তবে কোথায়? মামাতো বোন বলে, পুকুর পাড়ে। রবিন বলে, চল।
রবিনের মামাতো বোনও ক্লাস সিক্সে পড়ে। রবিন নানা বাড়ি গেলে মামাতো বোনের সাথেই খেলাধুলা করতো। রবিনের আসলে মামাতো বোনের শরীরই বেশি টানতো। সে মনে মনে ভাবতো, তার সাথে যদি মামাতো বোনের বিয়ে হয় তাহলে খুব মজা হবে!
পুকুর পাড়ে রবিন প্রথম কোন নারীর যৌনাঙ্গ দেখার সৌভাগ্য অর্জন করে। রবিন অনেক চেষ্টা করার পরেও মামাতো বোনের যৌনাঙ্গে লিঙ্গ ঢুকাইতে ব্যর্থ হয়! কিন্তু চেষ্টা তার থামেই না! একসময় টায়ার্ড হয়ে গেলে রবিন বুঝতে পারে, যৌনাঙ্গ ঢুকাইতে পারবে না।
মামাতো বোন শোয়া থেকে উঠে হিসু করার সময় রবিন মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে দেখার চেষ্টা করে, হিসু কোন দিক দিয়া বের হয়। রবিন যদি দেখতে পায় তাহলে পরেরবার ঠিক সেইদিক দিয়ে ঢুকাইতে পারবে।
তারপর থেকে তারা পুকুরে এক সাথে গোসল করার সময় দুই একবার ট্রাই করেছে পানিতে। কিন্তু রবিন লিঙ্গ ঢুকাইতে ব্যর্থ হয়েছে!
কিন্তু রবিনের মাথায় যৌন সুখ এমনভাবে গেঁথে যায় যে নারী দেখলেই তার সেক্স করার ইচ্ছা জাগে!
বছর তিনেক পরে রবিন জানতে পারে, তার মামাতো বোন স্কুল পরিবর্তন করে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। রবিনের মন এতে ভীষণ ভাবে খারাপ হয়ে যায়। রবিনের আর পড়ালেখায় মন বসে না। মামাতো বোনের কথা মনে পড়ে। রবিনের রেজাল্ট বছরের পর বছর খারাপ হতে থাকে।
ছেলের এই অবস্থা দেখে রবিনের মা সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল পরিবর্তনের। এতে রবিন খুশি হয়ে যায়। রবিনের মনে হয়, এখন খেলা হবে কেউ জানবে না।
রবিনের মা রবিনের মামার সাথে কথা বলে রবিনকে নতুন স্কুলে ভর্তি করে দেয়। ভর্তি হওয়ার পর রবিন জানতে পারে তার মামাতো বোন এই স্কুলে ভর্তি হয় নাই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ছে। যেটা রবিনের স্কুল থেকে দশ কিলোমিটার দূরে। রবিনের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু রবিনের কিচ্ছু করার নাই।
রবিন হোস্টেলে থাকার সময় চটি পড়া শুরু করে। চটি পড়ে সে যৌনতার অনেক কিছুই শিখে যায়। চটি পড়ার সময় রবিন তার মামাতো বোনের যৌনাঙ্গ কল্পনা করে হস্তমৈথুন করে। রবিন এতে এক অনন্য অসাধারণ যৌন সুখ পায়।
এস এস সি পাস করার পর রবিনকে শহরের একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয় তার বাবা। রবিন সিদ্ধান্ত নেয়, কলেজে সে কোন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব করবে না। তার ছেলেদের প্রতি আগ্রহ নাই। তার আগ্রহ কেবলই নারী।
রবিন চিন্তা করে তার মেস যদি কলেজ থেকে বেশি দূরে হয় তাহলে তার বান্ধবীরা মেসে আসতে চাইবে না। তাই রবিন চায় কলেজের কাছাকাছি কোন মেসে সিট ভাড়া নিতে। এতে করে কলেজের বোরিং টাইম বাসায় এসে আরামে কাটানো যাবে। বান্ধবী রুমে আসা মানেই সেক্সের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া।
রবিন কলেজ থেকে হেঁটে যাওয়ার দূরত্বে মেস ঠিক করলো । আর ক্যাম্পাসের অপেক্ষাকৃত সুন্দরী এবং ইজি গোয়িং টাইপ মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে লাগলো । রবিনের যে বান্ধবীর সাথে একটু ভালো সহনশীল সম্পর্ক হইছে বলে মনে হয় রবিন তাকেই সেক্সের ডাইরেক্ট প্রপোজ করে । এতে অনেকেই রবিনকে ফালতু ছেলে মনে করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । অনেকেই আবার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে শুধুমাত্র হাই হ্যালো টাইপ একটা সম্পর্ক রাখে । তবে কেউ কেউ রবিনের প্রস্তাবে রাজি হয় ।
যে রাজি হয় রবিন তাকে তার মেসে নিয়ে যায় । যতক্ষণ বান্ধবীসহ রবিন রুমে থাকে তখন তার রুম মেট ঘন্টা খানেকের জন্য বাইরে থেকে ঘুরে আসে । রবিনের কাছে সেক্সের জন্যে এক ঘন্টা সময় নেহাত কম নয় । এতেই সে যৌনতা উপভোগ করতে পারে !
কিন্তু একদিন বাকি মেস মেম্বাররা রাতের খাবের পর মিটিং ডাকলো । সে মিটিং থেকে রবিনকে খুব স্ট্রংগলি নিষেধ এবং তিরস্কার করা হলো । বলা হলো, মেয়ে নিয়ে ফস্টি নষ্টি করার জায়গা মেস না । ভবিস্যতে যেনো মেসে মেয়ে না আনে । যদি আনে তাহলে রবিনকে মেস থেকে বের করে দেওয়া হবে ।
রবিনের মনে হতে থাকে, এইটা মানবাধিকার লঙ্গন । রবিনের মানবাধিকার খর্ব হয়েছে । এটা অবিচার । এটা অন্যায় । এই সিদ্ধান্ত সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ।
রবিন সিদ্ধান্ত নেয় , এইসব মেস তার হবে না । তার পুরা একটা রুমই লাগবে । যে রুমে সে একা থাকবে । আর তখন বান্ধবী আইলে কাউকে বাইরে চলে যেতে হবে না । কিন্তু এই রকম একটা রুম নিয়ে থাকতে গেলে ভাড়া দিতে হবে অনেক বেশি । তার পরিবার থেকে মাসে সিট ভাড়া খাওয়া এবং প্রাইভেট বাবত টাকা আসে মাত্র তিন হাজার টাকা । এখন যদি সে একটা রুম নিয়ে থাকতে চায় তাহলে মিনিমাম তাকে দুই হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে । কিন্তু এতো টাকা তার নাই ।
রবিন বুঝতে পারলো, নিরাপদে ঝামেলা ছাড়া যৌন জীবন উপভোগ করতে হলে তার টাকা ইনকাম করতে হবে । রবিন টিউশনি করা শুরু করলো । টিউশনির টাকায় রবিন ফ্ল্যাট বাসায় একটা রুম ভাড়া নিলো । এখন আর রবিনকে কোন মেস মেম্বার ডিস্টার্ব করে না । রবিন কখনো বান্ধবীদের নিয়ে আসে কখনো ফোনে সম্পর্ক গড়ে নিয়ে আসে আবার কখনো ফেইসবুকের পরিচয় থেকে সরাসরি রুমে নিয়ে আসে । রবিনের যৌন জীবন ভালোই কাটতেছিলো বছর খানেক ।
কিন্তু একদিন বিল্ডংয়ের কেয়ারটেকার রবিনকে ডেকে বললো, আশেপাশের লোকজন কমপ্লেইন দিছে । রবিনের সাথে একেকসময় একেকমেয়ে রুমে আসে । এতে বিল্ডিংয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে । এমনিতেই বিল্ডি-এ ব্যাচলর ভাড়া দিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে তার উপরে নারী কেলেংকারি সহ্য করা যাচ্ছে না । ভাই আজকে থেকে ব্যাচলর বাসায় যেনো আর কোন মেয়ে না আসে ! নইলে বাসা ছাইড়া দিতে হবে !
রবিন চিন্তা করলো এইসব হবে না ! তার দরকার ফ্যামেলি বাসায় সাবলেট । ফ্যামেলি বাসায় মেয়ে আসা যাওয়া করলে কোন সমস্যা হবে না কেউ কমপ্লেইন দিবে না । কিন্তু ফ্যামেলি বাসায় সাবলেট থাকতে গেলে তার যে টাকা লাগবে সেই টাকা তার নাই । রবিন বুঝতে পারলো , রবিন যদি অবাধ এবং আরামদায়ক যৌনজীবন উপভোগ করতে চায় তাহলে তার কাছে উপায় একটায় তাকে পারমানেন্ট কিছু একটা করতে হবে । টিউশনির টাকা দিয়ে আরামদায়ক উপভোগ্য জীবন যাপন করা সম্ভব নয় ।
রবিন পার্টটাইম চাকরি করা শুরু করলো । রবিনের মাথায় একটায় চিন্তা নিরাপদে যৌনজীবন উপভোগ করা ! কিন্তু পার্টটাইম জবের টাকা দিয়ে রবিন যে জীবন চায় সেই জীবন উপভোগ করা সম্ভব নয় । তাই রবিন পার্মানেন্ট কিছু খুঁজতে থাকে । বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির জন্য সিভি পাঠাইতে থাকে । রবিনের মনে হয় তার একটা চাকরি হলেই সে একটা সাবলেট বাসা নিতে পারবে তারপর আর কোন ঝামেলাই থাকবে না !
রবিন অনেক মেয়েকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে । কিন্তু বেশির ভাগ মেয়ে হোটেলে সেক্স করাকে নিরাপদ মনে করে না । তবে দুই একজন যে যায় না তা না । কিন্তু হোটেল ভাড়া খাওয়া খরচ সব মিলিয়ে যে টাকা খরচ হয় তাতে রবিনের পোষায় না ।
একদিন রবিনকে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে ফোন করে ইন্টারভ্যুর জন্য ডাকা হয় । ইন্টারভ্যুর পর রবিনকে বলা হয়, তিন মাস ট্রেনিং করাবে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে । বাইরে নিয়ে যাওয়ার খরচ ওখানে থাকা খাওয়ার সব খরচ কোম্পানির । এই সময় মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন দিবে । ট্রেইনিং শেষ করে দেশে আসলে মাসে দশ হাজার করে বেতন দেওয়া হবে । তারপর থেকে বেতন পারফর্মেন্সের উপর ভিত্তি করে বাড়ানো হবে । রবিনের টাকায় শুধুমাত্র পাসপোর্টটা করতে হবে বাকি সব খরচ কোম্পানির !
রবিনের চোখের সামনে ভেসে উঠে অসংখ্যা নারীর নগ্ন শরীর ! রবিন এইবার পারবে তার যৌন জীবন উপভোগ করতে । রবিনের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক !
রবিন দেশে আসার পরপর একটা সাবলেট বাসা ভাড়া নেয় । রবিনের এখন আর অর্থনৈতিক ক্রাইসিস নাই । রবিনের এখন প্রয়োজনের চাইতে বেশি টাকা আছে । কেউই কোন কমপ্লেইন দিচ্ছে না । সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে । রবিন একটা বিষয় বুঝতে পারলো, যে সব মেয়েরা ফ্ল্যাট বাসায় যাইতে চাইতো না তারা কিন্তু সাবলেট বাসায় আসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় । রবিনের কাছে মনে হয়, মেয়েরা আসলে নিরাপত্তা চায় সবার আগে । রবিন যদি মেয়েদেরকে সিকিউরিটি দিতে পারে বুঝাতে পারে তার বাসা নিরাপদ তাহলে রবিনের যৌন জীবন উপভোগ করার সুযোগ অনেকখানি বাড়বে ।
কিন্তু বছরখানেকের মাথায় যাদের সাথে সাবলেট থাকে তারা কমপ্লেইন দিলো, গলির বাকি ফ্যামেলিরা রবিনের মেয়ের ব্যাপারটি নিয়ে কানাঘুষা করছে । রবিন বিরক্ত হয়ে চিন্তা করলো বাল এইসব সাবলেট টাবলেটে তার হবে না । তার একটা পুরা ফ্ল্যাট দরকার । যেখানে তিনটা রুম থাকবে । দুইটা বাথরুম থাকবে কিচেন ডাইনিং থাকবে এবং বেলকনি থাকবে । একটা রুমে সে থাকবে আরেকটা রুম বন্ধু বান্ধবীরা আসলে আড্ডা ফাড্ডা দিবে আরেকটা রুম হবে তার লাইব্রেরি ।
এই রকম একটা বাসা নিতে গেলে তার দশ হাজার টাকা মাসিক বেতনে হবে না । তাকে মিনিমাম বিশ হাজারের উপরে ইনকাম করতে হবে । রবিন সিদ্ধান্ত নিলো চাকরিতে মনযোগ দিতে হবে । কঠোর পরিশ্রম করতে হবে । কঠোর পরিশ্রমই থাকে চাকরিতে প্রমোশন দিবে । আর প্রমোশন মানেই টাকা ।
রবিন টানা একবছর মনোযোগ দিয়ে চাকরি করলো । রবিনের প্রমোশনও হলো পরপর অনেকগুলা । রবিনের সেলারি আনএক্সপেক্টেট ভাবে বেড়ে গেলো । রবিন তার স্বপ্ন এইবার চাইলেই পূরণ করতে পারে ।
মাসে দশ হাজার টাকায় রবিন একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিলো । ফ্ল্যাটটা রবিন যে রকম চেয়েছিলো ঠিক সেই রকম । রবিন মধ্যরাতে বাসায় আসলেও কেউ কিচ্ছু বলার নাই ! রবিনের বাড়িওয়ালা রবিনকে অনেকবার দেখেছে মাতাল হয়ে টলতে টলতে সিড়ি দিয়ে বাসায় উঠতে । অনেকবার দেখেছে একেকসময় একেকমেয়ে নিয়ে রবিন উপরে উঠছে আবার উপর থেকে নিচে নামচে কিন্তু কিচ্ছু বলে নাই ।
বাড়িওয়ালার পরিস্কার কথা, বিল্ডিং-এর অন্য ভাড়াটিয়ারা কমপ্লেইন না দিলে তার কোন ঝামেলা নাই । সে মাসের প্রথম সাপ্তাহে ভাড়া পেলেই হলো । রবিন প্রথম সাপ্তাহেই ভাড়া ক্লিয়ার করে দেয় । ভাড়িওয়ালা রবিনকে গেইটের একটা চাবি দিয়ে বলে , বাবা তুমি অনেক দেরিতে আসো আমারও ঘুম থেকে উঠে গেইট খুলে দিতে কষ্ট হয় তুমি ঢুকে গেইট আবার তালা দিয়ে দিও ।
রবিন তার যৌন জীবন এখন অনেক আরামের সহিত উপভোগ করতে পারছে । আগে যেসব মেয়েরা মেসে ফ্ল্যাটে কিংবা সাবলেট বাসায় আসতে চাইতো না তারা কিন্তু রবিনের ফ্ল্যাট বাসায় এসে রাতে দিনে থেকেও যাচ্ছে । রবিনের কাছে একটা বিষয় পরিস্কার হয় যে, মেয়েরা বয়ফ্রেন্ড কিংবা বন্ধুর কাছে নিরাপদে সেক্স করার গ্যারেন্টি পাইলে তারা আগ্রহের সাথেই সেক্স করতে রাজি হয় ।
রবিনের বন্ধু বান্ধব এবং কাছের পরিচিত জনের অনেকেই অতি সেক্স আসক্তির জন্য রবিনকে পছন্দ করে না । কিন্তু রবিন বিশ্বাস করে রবিনের সেক্স আসক্তি তার জীবন বদলিয়ে দিয়েছে । আজকে রবিনের ফিনেন্সিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্ট হওয়ার পিছনে যে গল্পটা লুকিয়ে আছে সেই গল্পটির নাম সেক্স আসক্তি ।
কে কি মনে করলো না করলো তাতে রবিনের কিচ্ছু আসে যায় না । রবিন জানে রবিন নিজের কাছে অনন্য এবং অসাধারণ । জীবনের লক্ষ্য একটাই , ভালো থাকা । রবিনের ভালো থাকার অধিকার রয়েছে । রবিনের কাছে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারার নামই ভালো থাকা ।
রবিন মনে করে , যৌন আসক্তি , ভেরিয়েশন অব সেক্স , মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ বিয়ে বহির্ভুত যৌন জীবন উপভোগ দোষের বা অপরাধের কিচ্ছু না ! রবিন বিশ্বাস করে , নারী নেশা এবং রাতের শহর উপভোগ ছাড়া একজন মানুষ পরিপূর্ণ ভালো থাকে না !
জিপসি রুদ্র
৩সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ।

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

।। জেলখানার জিন্দেগী।।

জেলখানায় হাজতিদের লগে দুইভাবে দেখা করা যায় ।

এক। সরকারি ভাবে ।
দুই । ভিআইপি মর্যাদায় ।

সরকারি ভাবে দেখা করতে হলে আপনাকে সকাল আট টা থেকে বিকাল পাঁচটার আগে স্লিপ কাটতে হবে । কার সাথে দেখা করতে চান তার নাম তার বাবার নাম সে কোন ওয়ার্ডে থাকে- এই তথ্য গুলো দিয়ে । এইটা বিনামূল্যে হলেও কিছু টাকা দিতে হয় যারা স্লিপ লেখে তাদেরকে ।

স্লিপ কাটার পর আপনি একটা ঘরের ভিতরে অপেক্ষা করবেন । স্লিপ ভিতরে চলে গেলে ওয়ার্ড থেকে সেই লোকটিকে ডেকে আনা হবে আপনি যার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান । সে এসে খাঁচার ভেতর থেকে আপনার সাথে কথা বলবে আর আপনি খাঁচার বাইর থেকে কথা বলবেন । অনেক লোকজন থাকে বেশ চিল্লায় চিল্লায় কথা বলতে হয় । অনেক ভিড় থাকে । একজন কি বলছে আরেকজন তা অনেক সময় শুনতেও পায় না । বেশ কয়েকবার চিল্লায় চিল্লায় বলতে হয় ।

ভিআইপি ভাবে দেখা করতে হলে আপনাকে সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটার আগে ভিআইপি স্লিপ কাটতে হবে । কার সাথে দেখা করতে চান তার নাম তার বাবার নাম সে কোন ওয়ার্ডে থাকে- এই তথ্য গুলো দিয়ে । এই জন্য আপনার থেকে তেরশো টাকা দিতে হবে ।

স্লিপ কাটার পর আপনি বাইরে অপেক্ষ করবেন । স্লিপ ভিতরে চলে গেলে ওয়ার্ড থেকে সেই লোকটিকে ডেকে আনা হবে আপনি যার সাথে দেখা করতে চান । তারপর আপনাকে ভিতরে ঢুকানো হবে । ঢুকানোর পর আপনার হাতে একটা সিল দিয়ে দিবে । এই সিল হচ্ছে চিহ্ন । আপনি দেখা করতে এসেছেন । আর যার সাথে দেখা করতে এসেছেন তার হাতে একটা কলম দিয়ে একজন সাইন করে দিবে । সাইনের এর প্রমাণ হইলো এই লোক হাজতি । তারপর আপনারা সামনা সামনি মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে পারবেন বিশ মিনিট । বিশ মিনিট শেষে সিল মারা লোকটিকে বের করে দিবে আর সাইন দেওয়া লোকটিকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিবে ।

দেখা করতে এসে অনেকেই হাজতিদের টাকা দেয় । ভিআইপি ভাবে দেখা করতে এসে টাকা দিলে হাজতিকে ভিতরে ঢুকলেই একশো টাকা দিয়ে দিতে হবে জেলখানার জমাদারকে । নইলে সে সব টাকা নিয়ে ফেলবে চেক করে । এই চেক মানে পাছার জোরা পর্যন্ত চেক করে । টাকা একশো দিয়ে দিলে কতো টাকা দিলো তা আর দেখে না । আর যে আপনাকে ডেকে আনছে তাকে দিতে হবে পঞ্চাশ টাকা ।

আর যদি সরকারি ভাবে দেখা করতে এসে টাকা দেয় তাইলে হাজারে একশো টাকা করে দিয়ে দিতে হবে ।

জেলখানায় ক্যাশ টাকা অবৈধ । কিন্তু ক্যাশ টাকা ছাড়া জেলখানায় চলায় যায় না ! কি অদ্ভুদ না !

জেলখানায় কারো সাথে দেখা করতে আসলে অবশ্যই হাতে মিনিমাম তিন ঘণ্টার সময় নিয়ে আসবেন । কারণ এইখানে নিয়মের তোয়াক্কা সব সময় ঠিক থাকে না । একেক সময় একেক রকম হই যায় !

জেলখানায় কারো সাথে কেউ দেখা করতে আসলে তাকে বলা হয় "দেখা আসছে" । কোন হাজতি যদি একবার দেখা করতে যায় কারো সাথে সেটা সরকারি হোক আর ভিআইপি হোক হাজতিকে অবশ্যই ওয়ার্ডের একজন চেয়ারম্যান আছে যার কাজ হচ্ছে টয়লেট আর ওয়ার্ড পরিস্কার রাখা এবং পানি টানা । তাকে এক বান্ডিল বিড়ি দিয়ে দিতে হবে এবং সেইদিনের লক আপ দিতে হবে পঞ্চাশ টাকা । দেখা করতে এসে হাজতিকে টাকা দিক আর না দিক । বিড়ি আর লক আপের পঞ্চাশটাকা হাজতিকে দিয়ে দিতেই হবে ।

দিতে না পারলে হাজতি বুঝে মাইর নইলে মা বোন তুইলা গালি ! লক আপ মানে হইলো সকালে ওয়ার্ডের দরজা খুইলা দেওয়া আর বিকালে দরজা বাইন্ধা দেওয়া । জেলখানার একজন মিয়াসাব এই কাজটা করেন । তাকে দৈনিক পঞ্চাশটাকা করে দিয়ে দিতে হয় । এইটাকেই বলে লক আপ দেওয়া । মেট এই টাকাটা যারা দেখা করতে যায় মানে যাদের লগে দেখা করতে লোক আসে তাদের থেকে নিয়ে দে ।

তাই যারা হাজতিদের সাথে দেখা করতে যাবেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন হাজতিদের হাতে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আসতে । হাজতিরাও দেখা করতে যায় কিছু টাকা পয়সা আর মামলার অগ্রগতি জানার আশায় ।

জেলখানার জিন্দেগী বড়ই নির্মম এবং নির্দয় । টাকা আছেতো ভালো টাকা নাইতো কষ্ট কষ্ট এবং অবর্ননীয় কষ্ট !

নুরুল আজিম রণি একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতার নাম ।

এই মূহুর্তে গোটা বাঙলাদেশের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতার নাম নুরুল আজিম রণি ।

রণি যখন রাজনীতি শুরু করেছিলো তখন আওয়ামীলীগের এতো সুসময় ছিলো না । চারদিকে বিএনপি জামাতের দুর্নীতি , খুন , ধর্ষণ , সংখ্যালগুদের উপর হামলা , লুটপাট , অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী অনুসারী নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলা ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ।

বিএনপি জামাত ক্ষমতা ছাড়ার পর পর যখন জাতির উপরে চেপে বসলো সেনা সমর্থিত মঈনউদ্দিন ফখরুদ্দিনের সরকার তখন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টানের ছাত্ররাজনীতিসহ সকল ধরনের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো ।

ঠিক সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে শপথ নেওয়া রণি ছিলো রাজপথের একজন নিয়মিত আন্দোলন কর্মী ।

তৎকালীন সময়ে এমন কোন আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসুচি ছিলো না যেখানে রণি উপস্থিত থাকতো না । একদিকে পুলিশের লাঠি চার্জ অন্যদিকে , মামলা হামলার ভয় কোনটায় রণি'কে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে নাই । আমার মনে হয় সেসময় রণি কখনো মনে করে নাই সে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হবে । অথবা সে কোন পদ পদবীর লোভে বাঙলাদেশের অত্যন্ত দুঃসময়ে এইসব আন্দোলন সংগ্রাম করছে । আমার মনে হয় তার রাজনৈতিক নীতি চেতনা আদর্শ এবং সততা তাকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইতে সাহায্য করেছে ।

কিন্তু রণি মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর পর তার রাজনৈতিক শত্রু বাড়তে লাগলো । যার কোন শত্রু ছিলো না এখন তার শত্রুর সংখ্যা অগনিত । আমি যতদুর জানি সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারো কাছে চাঁদা চায় নাই । কারো জমি দখল করে নাই । এমনকি কাউকে মার্ডারও করে নাই । তাইলে তার এতো শত্রু কেনো চারপাশে ?

আমার কাছে মনে হয়েছে রণি রাজনৈতিক নীতি, চেতনা এবং আদর্শের উপর সৎ বলেই তার এতো শত্রু । আসুন কিছু কারণ খুঁজি নুরুল আজিম রণির এতো শত্রু কেনো ।

এক।
রণি মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরপর তার ফেইসবুক টাইমলাইনে নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে তার চিন্তা বিবেক বুদ্ধি এবং বোধশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নয়া প্রজন্মের মগজ দখল করার জন্য লেখালেখি শুরু করে অবিরামভাবে । এইসব লেখা পড়ে প্রচুর ছেলে মেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রানিত হতে লাগলো । এবং এই জন্য উগ্রধর্মান্ধ জনগুষ্টির কাছে রণি হয়ে উঠলো একজন শত্রু ।

দুই।
প্রায় পচিশ বছর ধরে চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসিন কলেজ একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির এবং উগ্রধর্মান্ধদের দখলে ছিলো । স্থানীয় নেতার সমন্বয়ে কোন লাশ ছাড়াই রণি নিজের বিবেক বুদ্ধি এবং কৌশল কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসিন কলেজ ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমসহ সকল প্রগতীশীল ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই দুই কলেজকে অভয়ারণ্য করে দিলো । আর ক্ষমতার একক ভাগ পাইতে স্থানীয় নেতা কর্মী সমর্থকরা রণির শত্রু হয়ে গেলো ।

তিন।
সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাস ভাড়া হাফ করার দাবীতে রণির আন্দোলনের কারনে এবং মুসলিম হাই স্কুলের মাঠ থেকে বাস ষ্ট্যান্ড সরিয়ে ছাত্রদের নিরাপদ খেলার মাঠ উপহার দেওয়ার জন্য বাস মালিক সমতির কাছে রণি হয়ে উঠলো একজন শত্রু ।

চার।
চট্টগ্রাম শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলো ছাত্র ছাত্রীদের বোর্ড নির্ধারিত ফি'র চাইতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে রণির আন্দোলনের ডাকে সমস্থ ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক সংহতি প্রকাশ করায় শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলো বাধ্য হয় অতিরিক্ত আদায়কৃত ফি ফেরত দিতে । এবং সেইসব শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পরিচালকদের কাছে রণি হয়ে গেলো শত্রু ।

পাঁচ ।
চট্টগ্রামে আউটার স্টেডিয়ামে খেলার মাঠ দখল করে সুইমিংপুল বানানোর প্রতিবাদ , চট্টগ্রামে জলবদ্ধতা নিরসনে কতৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তুলে রণির নিয়মিত লেখালেখির কারণে সে হয়ে উঠে তার দলের ফায়দাবাজ পলিটিশিয়ানদের শত্রু ।

ছয়।
বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা কর্মী খুন হওয়ার পর বিচার না হওয়ার অপসংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং খুনের সাথে জড়িত নেতা কর্মী সমর্থকদের সরাসরি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করায় রণি হয়ে উঠে সেইসব নেতার কর্মী সমর্থকদের শত্রু ।

সাত।
আওয়ামীলীগে একাত্তরের রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির থেকে আমদানিকৃত নেতাদের রণি সমর্থন না দিয়ে তথ্য উপাত্থ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করায় রণি হয়েছে তাদের শত্রু ।

আট।
রণি একাত্তরের সকল ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চায় এবং এই দেশে উগ্রধর্মান্ধ জনগুষ্টির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ দিয়ে তাদের পরাস্থ করে নয়া প্রজন্মের মগজে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে দিতে চায় । এই জন্যে সে ঘাতক দালাল এবং উগ্রধর্মান্ধদের চির শত্রু ।

এইরকম আরো অসংখ্য কারণ আছে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি'র শত্রু বাড়ার ।

তবে আমার কাছে মনে হয় ব্যাক্তিগত ফায়দা বা সামাজিক সম্মান হাসিল করার জন্য রণি'র শত্রু বাড়ে নাই । রণি'র শত্রু বেড়েছে সে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের সাথে কোন রকম আপোষ-রফা করে নাই এই জন্য ।

রণি আমার দেখা সমসাময়িক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতার নাম ।

নুরুল আজিম রণি'র জন্য ভালোবাসা
নুরুল আজিম রণি'র জন্য শুভ কামনা ।

জয় বাঙলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

বন্ধু হিন্দুও হলেও ভালোবাসবো শত্রু মুসলমান হলেও ঘৃণা করবো ।

খালেদা জিয়া তার নেতা কর্মী এবং সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছে , তারা যেনো আর ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য না দেয় এবং এইদেশে ভারতের প্রতি বিদ্বেষ না ছড়ায় ।

আমার কাছে মনে হয়েছে , খালেদা জিয়া নীতি, সততা, কৃতজ্ঞতা এবং আদর্শের উপর ভিত্তি করে বিএনপির নেতা কর্মী এবং সমর্থকদের এই নির্দেশ দে নাই । এই নির্দেশ দিয়েছে একটা কৌশলগত কারনে । খালেদা জিয়া মনে করে , এই বাঙলাদেশে ভারতের ইশারা ছাড়া সরকার পরিবর্তন হয়না । বিএনপির নেতা কর্মীরা যদি এই মুহুর্তে ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেয় তাহলে আগামী নির্বাচনে ভারত বিএনপি’কে সাহায্য সহযোগিতা করবে না । তাই খালেদা জিয়া বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদেরকে কৌশলগত কারনে ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিতে নিষেধ করেছে ।

এই বাঙলাদেশে ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা যারা বলে তাদেরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । তাদের এক ভাগ মনে করে , ভারত হিন্দু রাষ্ট্র আর বাঙলাদেশ মুসলমান রাষ্ট্র । একজন মুসলমান হয়ে একটি হিন্দু রাষ্ট্রকে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না । তাই তারা শুধুমাত্র ধর্মীয় গোঁড়াময় আবেগ অনুভুতি থেকে ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলে । আরেকভাগ মনে করে , ভারত বাঙলাদেশের ব্যবসা বানিজ্য, শিল্প সাহিত্য, মানুষের আচার আচরণসহ সংস্কৃতির সকল শাখায় আগ্রাসন চালাচ্ছে । তাই তারা ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলে ।

কিন্তু এই দুই ভাগের একভাগও মনে রাখে নাই , বাঙলাদেশের জন্মযুদ্ধে ভারতের অবদান । ভারত বাঙলাদেশের জন্য কি কি করেছে । পৃথিবীর একটি দেশ আরেকটি দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করেছে কি না আমার জানা নাই ভারতের মতো । এক কোটি মানুষকে থাকতে দিছে । নয় মাস ধরে খাওয়াইছে । চিকিৎসা দিছে । মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিছে । গোলাবারুদ দিছে । ট্রেনিং দিছে । বাঙলার মানষের মুক্তির জন্য ভারতের প্রায় চারহাজার সন্য জীবন দিছে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ইন্দিরাগান্ধী বিশ্বসফর করছে । বাঙলাদেশের জন্মযুদ্ধে ভারত যে মানবিকতা এবং বন্ধুর পরিচয় দিছে এই দেশের জনগনের প্রতি তা একজন বাঙালি হয়ে অস্বীকার করলে নিশ্চয় বাঙালির ইজ্জত বাড়বে না !

জন্মযুদ্ধে পরাজিত হওয়া শক্তি ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাতিরা ভারতের এই সাহায্য সহযোগিতা মেনে নিতে পারে নাই । তাই তারা একাত্তরেও এই দেশে অপপ্রচার চালাইছিলো পাকিস্তানীদের পক্ষ হয়ে । তারা বলতো, পাকিস্তান মুসলমান রাষ্ট্র এবং বাঙালিদের বেশির ভাগও মুসলমান । ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ করার কোন দরকার নাই । দেশ স্বাধীন হওয়ারও কোন দরকার নাই । যারা দেশের স্বাধীনতা চায়, যারা দেশ ভাগ চায় তারা ভারতের দালাল তারা মুসলমান না । আর ভারতের দালাল মানে হিন্দুদের দালাল ।

ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের এই যে দেশপ্রেমহীন ধর্মীয় গোঁড়াময় অপরাজনীতি তা তারা স্বাধীনতা পরবর্তী ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাঙলাদেশেও ছড়িয়ে দিচ্ছে । তারা ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে এই দেশের মানুষের ভেতর পাকিস্তানের প্রতি প্রেম ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে চায় । জন্ম দিতে চায় ধর্মভিত্তিক পশ্চাৎপদ একটি রাষ্ট্রের । আর তাতে পানি দিচ্ছে এই দেশের বিএনপি ।

এইদেশে বিএনপি হলো জন্মযুদ্ধে পরাজিত শক্তি ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাতিদের রক্ষাকবচ । তাই বিএনপি জামাতিদের পক্ষ হয়ে জামাতিদের ফায়দা দেওয়ার জন্য এই দেশে ভারত বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু মুসলমান ইস্যুটিকে জিইয়ে রাখে । এই বিএনপির জন্যই মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙলাদেশ গড়া সম্ভব হচ্ছে না ।

বন্ধু হিন্দুও হলেও ভালোবাসবো
শত্রু মুসলমান হলেও ঘৃণা করবো ।
ভারত হিন্দু হলেও বাঙলাদেশের বন্ধু
পাকিস্তান মুসলমান হলেও বাঙলাদেশের শত্রু ।
ভারতকে ভালোবাসি
পাকিস্তানকে ঘৃণা করি ।

জয় বাঙলা ।

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

।। তানিয়া ও জিনিয়ার গল্প ।।

তারা দুই বান্ধবী । মফস্বলের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে শহরে এসেছে অনার্সে পড়তে । থাকে মেসে । তারা কয়েকজন কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে মিলে একটা বিল্ডিংযে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছে । সেখানের একটা রুমে তানিয়া আর জিনিয়া থাকে ।
তারা দুইজনই খুবই সংস্কৃতিমনা । মফস্বলে থাকতে তারা টেলিভিশনে নাটক সিনেমা দেখতো আর রেডিওতে গান শুনতো । টেলিভিশনে শাবানা আর শাবনুরের অভিনয় দেখে তাদের ভিতর অভিনয়ের বাসনা জাগে । গ্রামেতো আর অভিনয়ের তেমন কোন সুযোগ সুবিধা নাই তাই তারা শহরে এসে অভিনয়ের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয় ।
তানিয়া খুবই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে । আর জিনিয়া একটু চটপটে স্বভাবের । একদিন তারা দুইজন শিল্পকলা একাডেমিতে এসে অভিনয়ের ব্যাপারে ধারনা নিয়ে যায় । তারা জানতে পারে , শিল্পকলায় বিভিন্ন থিয়েটার গ্রুপ আছে যারা অভিনয় শেখায় । সেখানে ভর্তি হলেই তারা অভিনয় শিখতে পারবে এবং তারাও আস্তে আস্তে শাবানা শাবনুরের মতো দেশ কাঁপানো অভিনয় শিল্পী হয়ে উঠতে পারবে ।
জিনিয়া বুঝতে পারে , এইভাবে অভিনয় শিখে অভিনয় শিল্পী হতে হতে তার জীবন শেষ হয়ে গেলেও তাকে কেউই চিনবে না শুধুমাত্র শিল্পকলায় আসা থিয়েটারপ্রেমীরা ছাড়া । তাকে আরো কোন সহজ এবং সরল পথ খুঁজে বের করতে হবে । যাতে সে তাড়াতাড়ি সিনেমার নায়িক হয়ে উঠতে পারে ।
তানিয়া শিল্পকলার একটা থিয়েটার গ্রুপের ফরম কিনে তাদের সদস্য হয় । আর জিনিয়া সহজ ও সরল পথ খুঁজতে থাকে । তানিয়া থিয়েটারে ভর্তি হওয়ার পর থাকে একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয় । সেখানে তার চরিত্রটি হচ্ছে, কেন্দ্রীয় চরিত্রের ছোট বোন । তাকে বলা হয় , নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্র এবং সংলাপ খুব ভালো ভাবে পড়তে এবং বুঝতে । আর উচ্চারণের ব্যাপারটিও যেনো খুবই শুদ্ধ এবং সাবলীল হয় ।
প্রত্যেকদিন তানিয়া এবং জিনিয়া কলেজের ক্লাস শেষ করে রুমে আসে । রুমের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে জিনিয়া ঘুমিয়ে পড়ে আর তানিয়া স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করতে থাকে আর আয়নার সামনে প্র্যাকটিস করে । আর শুক্রবারে একদিন শিল্পকলায় যায় এবং সেখানে গ্রুপের সদস্যদের সাথে খুবই মনোযোগ দিয়ে রিহার্সেল করে । তানিয়া যখন রিহার্সেল করে তখন জিনিয়া শিল্পকলার বাইরে ঘুরতে থাকে । আর সে বুঝতে চেষ্টা করে শিল্পকলার পরিবেশ পরিস্থিতি ।
জিনিয়া দেখতে পায় শিল্পকলার বাইরে ছেলেপেলেদের ছোট ছোট বেশ কয়েকটি গ্রুপ আছে । তাদের কেউ কেউ বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা মারছে , কেউ ফুটপাতের পাশে বসে বিড়ি গাঁজা টানছে , আবার কেউ গোল হয়ে বসে গান বাজনা করছে ।
জিনিয়া চিন্তা করলো , তাকে এমন একটি গ্রুপ খুঁজে বের করতে হবে যে গ্রুপে মিশে গেলে তার সাথে মিডিয়ার কারো না কারো সাথে পরিচয় হবে । যে গ্রুপটি গান বাজনা করছে তাদের একজনকে গিয়ে বলে, ভাইয়া আমি কি বসতে পারি আপনাদের সাথে? সে বলে, অবশ্যই । বসে পড়ুন আর গান শুনতে থাকুন । জিনিয়া সেদিন তানিয়ার রিহার্সেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত গান বাজনা শুনেছে । আর দুই একটান বিড়ি টেনেছে । জিনিয়া জানে বিড়ি খুব দ্রুত গ্রুপের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে ।
পরের সাপ্তাহেও তানিয়া রিহার্সেল করতে চলে গেলো আর জিনিয়া রাস্তায় ফুটপাতে বসে পুরনো গ্রুপের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে । গ্রুপের মধ্যে একজন ছেলে আসছে যার ক্যামেরা আছে । সে গ্রুপের আড্ডার ছবি তুলছে । আর সে ছবি তোলার পর বসেছে জিনিয়ার পাশে । জিনিয়াকে ছবি কেমন হয়েছে তা ক্যামারার মনিটরে দেখাচ্ছে । জিনিয়া নিজের ছবি ক্যামেরায় দেখে বেশ মুগ্ধ । আসলেই সে অনেক সুন্দর । সে ছেলেটিকে বললো, ভাইয়া আপনি কি ছবি গুলো আমার ফেইসবুকে ইনবক্স করতে পারবেন? ছেলেটি বললো , অবশ্যই ।
ছেলেটি জিনিয়ার ফেইসবুক আইডিটি নিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠিয়ে দিলো । আর বললো, ফোন নাম্বারটি দিতে । জিনিয়া ছেলেটিকে ফোন নাম্বার দিলো । আর ছেলেটি ফোন নাম্বার সেইভ করে একটা মিস কল দিলো । জিনিয়া জিজ্ঞাস করলো, ভাইয়া আপনার নামটা , ছেলেটি বললো, তানভীর । জিনিয়া নাম্বারটা সেভ করে বলল, ভাইয়া আপনি ছবিগুলো ইনবক্স করে আমাকে একটা ফোন দিয়েন । ছেলেটি বললো , অবশ্যই ।
তানিয়া রিহার্সেল থেকে বের হয়ে জিনিয়ার কাছে এসে বললো , এই চল আমার রিহার্সেল শেষ । আমাকে তোকে নিয়ে ফটোকপির দোকানে যেতে হবে । কিছু কাজ আছে । জিনিয়া গ্রুপের সবাইকে টা টা বলে উঠে গেলো ।
জিনিয়া জিজ্ঞাস করলো তানিয়াকে, এই রিহার্সেল কেমন চলছে । তানিয়া বললো, বেশ কঠিনরে । মনে করেছিলাম অভিনয় খুবই সহজ এবং সরল কিন্তু এখন মনে হচ্ছে । অভিনয় আসলে বিশাল একটা ব্যাপার । থিয়েটারে না ঢুকলে বুঝতেই পারতাম না ।
জিনিয়া বলে , আজ এতোদিন হয়ে গেলো তোর নাটক আসলে মঞ্চস্থ হবে কবে ? জিনিয়া মুখ ভেঙচিয়ে বলে , এতো সহজ অভিনয় ! আগে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করো তারপর ডায়লগ ডেলিভারি প্র্যাকটিস করো তারপর এক্সপ্রেশন আরো কতো কি ! জিনিয়া বলে, তো নাটক মঞ্চস্থ হবে কবে ? তানিয়া বলে, সে অনেক দেরি । আমার কথা বাদ দে তোর কথা বল । জিনিয়া বলে , আমি শর্টকার্ট লাইন খুঁজতাছি । তানিয়া বলে, পাওয়া গেছে তোর শর্টকার্ট লাইন । জিনিয়া বলে, হু ।
রাতের বেলায় জিনিয়ার মোবাইলটা কেঁপে উঠলো । স্ক্রিনে নাম দেখে তানভীর । সে ফোনটা ধরে বলে, হ্যালো । ওপাশ থেকে তানভীর বলে , হ্যালো কিউটি বেবি তোমার ছবি ইনবক্স করে দিয়েছি । দেখো তারপর আমায় জানাও । ফোনের লাইন কেটে জিনিয়া ফেইসবুক ইনবক্স চেক করে । দেখে ছবিগুলোতে থাকে খুবই সুন্দর লাগছে । সে নিজের ছবি দেখে নিজেই মুগ্ধ । সাথে সাথে ডাউনলোড করে সে ফেইসবুকে আপলোড দিয়ে দিলো । ছবির ক্যাপশন লিখলো , কিউটি বেবি !
ফোন দিলো তানভীরকে । তানভীর ফোন রিসিভ করেই বললো, এতো দেরি কেনো ? জিনিয়া বললো, ভাইয়া ফেইসবুকে ছবি আপলোড করে তারপর আপনাকে ফোন দিয়েছি । তানভীর বললো, নো ভাইয়া আর নো আপনি । অনলি তানভীর আর অনলি তুমি ডাকবে । জিনিয়া বললো , ওহ তাই ! তানভীর বললো, হুম তাই’ই । তানভীর বললো, কাল তুমি ফ্রি আছো ? জিনিয়া বললো , হ্যাঁ ফ্রি আছি । সে বললো , কাল তুমি সমুদ্র পাড়ে এসো তোমার কিছু ফ্যাশন ফটোগ্রাফি করে দিবো । জিনিয়া বললো , ওহ রিয়েলি ! আমি খুবই এক্সাইটেট ! তানভীর বললো, এর চাইতে আরো বেশি এক্সাইটমেন্ট অপেক্ষা করছে তোমার জন্য যদি আমার সাথে ইজি গোয়িং একটা সম্পর্ক তৈরি করো । জিনিয়া বললো , তানভীর আমি তোমার সাথে খুবই ইজি । নো প্রবলেম ।
কথা শেষ হওয়ার পর , জিনিয়া ফেইসবুকে ঢুকে দেখলো এক ঘন্টায় তার লাইক পড়েছে তিনশো চুয়াল্লিশটা ! কমেন্টস একশো চারটা ! ইনবক্সে মেসেজ সাতান্নটা ! জিনিয়া পুরাই শকড ! যার আগে লাইকের সংখ্যা থাকতো সত্তর থেকে আশিটা সেখানে এতো লাইক এতো কমেন্টস এতো ইনবক্স ! জিনিয়া ভাবতেই পারছে না !
জিনিয়াকে অনেকেই ইনবক্সে অফার করেছে । মিউজিক ভিডিও, নাটক এবং শর্টফিল্মে অভিনয় করার প্রস্তাবও এসেছে দুই একটা ! জিনিয়া বুঝতে পারল , সে লাইন পেয়ে গেছে ! খুব শিগ্রই তার স্বপ্ন তার হাতে ধরা দিবে !
সকাল বেলা কলেজে যাওয়ার সময় জিনিয়া তানিয়াকে তার এই ঘটনা জানালো । তানিয়া বললো , এতোই সহজ অভিনয় ! ডিএসএলআর ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেইসবুকে পোষ্ট করলেই অভিনয় শিল্পী হওয়া যায় ! জিনিয়া বললো , তাইতো মনে হচ্ছে !
জিনিয়া দুই একটা ইনবক্সের টেক্সট তানিয়াকে দেখালো । তানিয়া বললো , আমি শুনেছি এইসব শরীর ভোগের টোপ । মিউজিক ভিডিও, নাটক আর শর্টফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার নাম করে শরীর ভোগ করে । জিনিয়া বললো , সে আমি জানি । আমার টার্গেট অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের খ্যাতি এবং টাকা আয় করা । সেখানে আমার শরীর একটা টোপ তাদের জন্য । তানিয়া বললো , তুই আর ভালো হইলি না ! জিনিয়া বললো তানিয়াকে , তুই ভালো হয়ে মুড়ি খা আর আমি খারাপ হয়ে খ্যাতি আর টাকা কামায় !
জিনিয়া তার সবচাইতে ভালো কাপড়টি পড়ে সমুদ্র পাড়ে গেলো । সেখানে তানভীর আর তার এক বন্ধু রাতুল জিনিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে । জিনিয়ার সাথে তানভীর রাতুলের পরিচয় করায় দিলো । বললো, রাতুল মিউজিক ভিডিও , নাটক এবং শর্টফিল্ম বানায় । সে জিনিয়াকে দেখতে আসছে । জিনিয়া রাতুলের সাথে বেশ হাঁসি খুশি হয়ে পরিচিত হল । ছবি তোলার পর তারা খাওয়া দাওয়া করলো । খাওয়া দাওয়ার এক পর্যায়ে তানভীর বললো, রাতুলের বাসা খালি আছে । আজ রাত জিনিয়া রাতুলের বাসায় থাকতে পারবে কি না । জিনিয়া বললো , রাতে থাকা তার জন্য কোন সমস্যা না তবে কোন কাজ ছাড়া রাতে থেকে কি ফায়দা ? রাতুল বললো, তার স্ক্রিপ্ট নিয়ে রাতে জিনিয়ার সাথে কথা বলতে চায় । সাথে তানভীরও থাকবে । আরও একটি মেয়ে থাকবে তাদের সাথে । গল্প হবে আড্ডা হবে নেশাও হবে । জিনিয়া বললো , বাসা যদি সিকিউর হয় তাইলে সে রাতে থাকতে পারবে । সমস্যা নাই ।
রাতুলের বাসাটা বেশ সুন্দর । বুঝায় যায় পয়সাওয়ালা বাপের পোলা । দুই একটা মিউজিক ভিডিও বানাইছে । এখন একটা শর্টফিল্ম বানাবে । সেই শর্টফিল্মের একটা চরিত্র জিনিয়াকে দিবে । জিনিয়াও জানে এইজন্যে তাকে রাতুলের সাথে শুইতে হবে । কারো সাথে ফায়দা হাসিলের জন্য শোয়া জিনিয়ার জন্য কোন ব্যাপারই না !
রাতুলের বাসায় রাত কাটিয়ে সকালে ফিরার সময় রাতুলকে বলল জিনিয়া তার কিছু টাকা লাগবে , রাতুল জিজ্ঞাস করলো , কতো ? জিনিয়া বললো , হাজার তিনেক । রাতুল জিনিয়াকে তিন হাজার টাকা দিয়ে বলে , বেবি ডাকলেই এসো । এই লাইনে প্রচুর টাকা । জিনিয়া বলে , গোপনীয়তা মেনটেইন করলে অবশ্যই যখনই ডাকবে তখনই পাবে । রাতুল বলল, মেয়েদের গোপনীয়তা আমি রক্ষা করি ।
জিনিয়া সকালে বাসায় আসার সময় তানিয়ার জন্য একটা বডিস্প্রে একটা ঘড়ি আর একটা বার্গার নিয়ে আসলো । তানিয়া বলল, এইসব কোথা থেকে ? জিনিয়া বললো , তুই আমার জানে জিগার দোস্ত । মার্কেটে গেছিলাম আর তোর জন্য নিয়ে আসলাম । তানিয়া ঘড়ি , বডিস্প্রে উপহার পেয়ে খুবই খুশি !
বার্গার খেতে খেতে তানিয়া জিজ্ঞাস করে, রাতে কই ছিলি ? জিনিয়া বলে , একজন উঠতি ডিরেক্টরের সাথে । এই কথা শুনে তানিয়ার খাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো ! জিনিয়া বলে , বার্গার খা । খুবই ভালো বার্গার কেএফসি’র বার্গার । তানিয়া বলে , তুই ডিরেক্টরের সাথে সেক্স করেছিস ? জিনিয়া বলে , হ্যাঁ । শুধু সেক্স না দোস্ত । মদ গাঁজাও খেয়েছি । কালকের রাতটা বলতে পারিস আমার এই বয়সের সেরা রাত ! তানিয়া বলে , তুই আর ভালো হইলি না ! জিনিয়া বলে , তুই ভালো হয়ে আপাতত বার্গার খা আর তারপর পানি খাইস ! আমি বাথরুমে ন্যাংটো হয়ে গোসল করবো অনেকক্ষণ । এর মধ্যে তুই আমার জন্য এককাপ গরম গরম চা বানাই রাখবি । আমি যেনো গোসল সেরে আরামচে চা খাইতে পারি !
তানিয়ার আজকে প্র্যাকটিস আছে । প্র্যাকটিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ন । আগামী সাপ্তাহে শিল্পকলার হল রুমে তাদের নাটক মঞ্চস্থ হবে । তাই সকলের চরিত্র ঠিকঠাক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে । যারা যারা চরিত্র ঠিকঠাক তুলতে পারবে না । তারা তারা বাদও পড়তে পারে । তানিয়া চায় না সে বাদ পড়ুক । তাকে অভিনয় শিল্পী হতেই হবে । সে খুব মনোযোগ দিয়ে রিহার্সেল করছে । তার ধ্যানজ্ঞান আপাতত শুধুই অভিনয় ।
আর বাইরে যথারীতি জিনিয়া ফুটফাতে বসে আড্ডা দিচ্ছে । এমন সময় একটা ফোন আসলো , হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে পরিচয় দিলো , রাতুল । আগামী পরশু শুটিং আছে কক্সবাজার দুই দিন থাকতে হবে । জিনিয়া কি যেতে পারবে ? জিনিয়া বললো , যেতে পারবে । তবে কতটাকা দিবে তাকে? রাতুল বললো , পঁচিশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার দিবে । সে বললো , সে রাজি তবে তাকে হাফ এডভান্স করতে হবে । বাকিটা কাজ শেষে । রাতুল বলল, সে কথা বলে জানাবে ।
তানিয়া রিহার্সেল শেষ করে বের হয়ে জিনিয়ার কাছে এসে বসলো । জিনিয়া জিজ্ঞাস করলো , কিরে তোর রিহার্সেল কেমন হলো ? তানিয়া বললো , বেশ ভালো হয়েছে । তো তোর মন খারাপ কেনো ? তানিয়া বলল , ফ্যামেলিতে টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা চলছে । এই মাসে টাকা পাঠাতে পারবে না । মেস ভাড়া খাওয়া খরচ কলেজের যাতায়ত কিভাবে ম্যানেজ করবে তা বুঝতে পারছি না ! জিনিয়া বললো , নো প্রবলেম বেবি ! মে হু না !
তানিয়া বললো , মে হু না মানে কি ! তোর ফ্যামেলির খবরতো আমি জানিই ! তোর খরচ চালাইতে হিমশিম খায় ! তুই আমার খরচ চালাইবি কেমনে ! জিনিয়া বলে , আমিতো আর তোর মতো ভোদাই না ! আমি জীবনকে চালাইতে জানি । তুই টেনশন নিস না ! আমার একটা কাজের অফার আছে । কাজটা হলে প্রায় পচিশ হাজার মতো টাকা পাবো । আর এতেই তোর আর আমার আরামচে বেশ কয়েকমাস কেটে যাবে !
তানিয়া বলে , কি বলিস তুই ! আমি এতো দিন অভিনয় শিখে একটা নাটক মঞ্চস্থ করতে পারছি না ! আর তুই শিল্পকলায় আড্ডা দিয়ে গাঁজা বিড়ি খেয়েই অভিনয় করবি ! জিনিয়া বলে , একেই বলে দোস্ত অভিনয় শিল্পী হওয়ার শর্টকার্ট রাস্তা !
রাতে জিনিয়ার নাম্বারে একটা ম্যাসেজ আসে । জিনিয়া ওপেন করে দেখে বিকাশ করা হয়েছে তার নাম্বারে পনেরো হাজার টাকা । জিনিয়ার চোখ কপালে উঠে গেছে । বিশ্বাসই হচ্ছে না ! এর মধ্যে রাতুলের ফোন আসে । জিনিয়া ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে রাতুল জিজ্ঞাস করে , টাকা আসছে কি না ? জিনিয়া বলে । হ্যাঁ টাকা আসছে । রাতুল বলে , কাল সকাল দশটায় শিল্পকলায় অপেক্ষা করতে সেখান থেকে একজন লোক তাকে পিক করবে । যে পিক করবে সে প্রডিউসার । প্রডিউসারের নাম্বার তাকে টেক্সট করে দেওয়া হয়েছে । জিনিয়া বলে , নো প্রবলেম । সে উপস্থিত থাকবে ।
সকালে যাওয়ার আগে বাসার নিচের দোকান থেকে ক্যাশ আউট করে পাঁচ হাজার টাকা তানিয়াকে দিয়ে জিনিয়া বলে , আমি দুই তিনদিন কক্সবাজার থাকবো । তুই টেনশন করিস না । এই টাকা দিয়ে তুই চল । আমি কক্সবাজার থেকে এসে আমরা আর এই মেসে থাকবো না । আমি আর তুই একটা আলাদা ফ্ল্যাট নিবো । সেখানে তুই আর আমি থাকবো ।
তানিয়া বলে , কি বলিস তুই ! এতো টাকা পাবো কই আমি ! জিনিয়া বলে , তোর টাকা পাইতে হবে না ! টাকা পাবো আমি । তুই শুধু খাবি পড়বি আর অভিনয় শিখবি ! আর টেনশন নিস না ! তুই একটা বাসা খোঁজ তিন রুমের । দুই বাথ ড্রয়িং ডাইনিং আলাদা এবং অবশ্যই যেনো বেলকনি থাকে ।
তানিয়া জিনিয়াকে বলে , তুই আর ভালো হইলি না ! জিনিয়া তানিয়াকে বলে , তুই ভালো হয় হা পিত্তেস কর আর আমি আমার মতো জীবন যাপন করে টাকা আর খ্যাতি কামাই !
তানিয়ার আজ নাটক মঞ্চস্থ হবে । কিন্তু তার আজ মনটা খুবই খারাপ । কারণ জিনিয়া দেখতে পারছে না তার অভিনয় । জিনিয়া দেখলে তার খুবই ভালো লাগতো । রাতের বেলায় তার সাথে অভিনয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করা যেতো । কিন্তু সে গেছে কক্সবাজার । তার বেশ রাগ লাগছে । মাথা থেকে জিনিয়ার অনুপস্থিতি তানিয়া কোন ভাবেই নামাতে পারছে না । এর মধ্যে বেল বেজে উঠলো । মানে একটু পরেই সবাইকে মঞ্চে উঠে যেতে হবে । নাটক শুরু হবে । তানিয়া চেষ্টা করছে , জিনিয়ার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দেওয়ার কিন্তু সে কোন ভাবেই বাদ দিতে পারছে না । সে ভাবছে , তার অভিনয় কেমন হয়েছে তা কাকে সে জিজ্ঞাস করবে !
জিনিয়ার শুটিং শুরু হয়েছে । পরিচালক তাকে কি কি করতে হবে সব বুঝিয়ে দিয়েছে রাতে । সাথে প্রডিউসারও ছিলো । পরিচালক এবং প্রডিউসার জিনিয়াকে বলেছে , অভিনয় হলো ডিরেক্টর নির্ভর একটি আর্ট । যে আর্টিষ্ট ডিরেক্টরের সাথে খুব সহজ সুন্দর এবং ইজি গোয়িং সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে । সে আর্টিষ্ট খুব দ্রুত মিডিয়ায় উপরে উঠতে পারবে । আর মিডিয়ায় উপরে উঠতে হলে পরিচালক এবং প্রডিউসারের সাথে খুব সহজ সুন্দর এবং ইজি গোয়িং সম্পর্ক রাখতে হয় ।
জিনিয়া মিডিয়া কি সেটি বুঝে যায় । আর সে ডিরেক্টর এবং প্রডিউসারের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক মেইন্টেইন মানে কি তাও জেনে যায় !
শুটিং শেষে প্রডিউসার জিনিয়াকে বলেছে , তার আচার আচরন এবং কাজে সে খুবই সুন্তষ্ট । আগামী মাসে তার একটা টেলিফিল্মের জন্য সে জিনিয়াকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে চায় । জিনিয়া যেতে পারবে কি না ? জিনিয়া প্রডিউসারের কাছে জানতে চায় , কয়দিনের জন্য এবং কতো টাকা দিবে ? প্রডিউসার জিনিয়াকে বলে , পনেরো দিনের জন্য এবং এর জন্য এক লাখ টাকা পেমেন্ট দিবে । জিনিয়া বলে সে যেতে পারবে এবং তার জন্যে ফিফটি পার্সেন্ট টাকা এডভান্স দিতে হবে নগদ । আর ফিফটি পার্সেন্ট কাজ শেষে । প্রডিউসার বলে , নো প্রবলেম ।
জিনিয়া কক্সবাজার থেকে প্রডিউসারের সাথে ফ্লাইটে ফিরলো । প্রডিউসার তাকে বাসায় নামিয়ে দিতে ছেয়েছিলো । কিন্তু জিনিয়া বলেছে , সে একাই বাসায় যেতে পারবে । জিনিয়ার এখন স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে । সে থিয়েটারে অভিনয় না শিখেও এখন অভিনয় করতে পারছে এবং টাকা কামাতে পারছে । তার শর্টকার্ট ফর্মুলা বেশ সুন্দর কাজে লেগেছে ।
জিনিয়া মার্কেটে গিয়ে তানিয়ার জন্য তিনটা জামা এবং দুই জোড়া জুতা, বেশ কিছু নামী ব্র্যান্ডের ফারফিউম, প্রসাধনী আর একটা দামী মোবাইল সেট কিনলো । তারপর বাসায় ফিরলো ।
তানিয়া জিনিয়াকে দেখে চিনতেই পারছে না ! তার হেয়ার স্টাইল তার গেট আপ মেকাপ জিনিয়াকে বদলে দিয়েছে । জিনিয়া তানিয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো, দোস্ত আমার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে । আমি আগামী মাসে ব্যাংকক যাচ্ছি পনেরো দিনের জন্য । একলক্ষ টাকা পেমেন্ট । এই নে তোর জন্য জামা কাপড় জুতা প্রসাধনী আর মোবাইল । তানিয়া বলে, আমি আজ এতোদিন থিয়েটার করে এক টাকাও কামাইতে পারলাম না আর তুই শিল্পকলার ফুটপাতে বসে গাঁজা বিড়ি খেয়ে এতো টাকা কামাইতেছিস ! তোর শর্টকার্ট লাইনতো তোর ভালোই কাজে লাগছে !
জিনিয়া তানিয়াকে বলে , দোস্ত অভিনয় হইলো ডিরেক্টর নির্ভর একটা আর্ট । অভিনয় দিয়ে তুই যদি টাকা ইনকাম করতে চাস তাইলে তোকে ইজি গোয়িং হতে হবে । ডিরেক্টর এবং প্রডিউসারের সাথে শুইতে হবে । না শুইলে টাকা কামাইতে পারবি না । অভিনয় করতে পারবি কিন্তু অভিনয় করে জীবন চালাইতে পারবি না । তোরা যারা থিয়েটারে অভিনয় করিস তারা অভিনয় করতে পারবি বাট অভিনয় করে জীবন চালাইতে পারবি না ।
তানিয়া জিনিয়াকে বলে , আমার অভিনয় করে জীবন চালাইতে হবে না । আমি অভিনয় করে শুধু সম্মানটুকু কামাইতে চাই । অভিনয়ের নাম দিয়ে ডিরেক্টর এবং প্রডিউসারের সাথে শুইয়ে আমার টাকা কামানো লাগবে না । অভিনয় আমার কাছে একটি নেশা এটি আমার কাছে পেশা নয় ।
জিনিয়া তানিয়াকে বলে , দোস্ত অভিনয় আমার কাছে পেশা । এইটাকে আমি পেশা হিসাবে নিলাম । এবং এই পেশায় আমাকে টিকে থাকতে হলে আমাকে ডিরেক্টর এবং প্রডিউসর নির্ভর হইতে হবে । কারণ এই পেশায় ডিরেক্টর এবং প্রডিউসররাই হলো ঈশ্বর । আর ঈশ্বর যদি কোন আর্টিষ্টের উপর খুশি থাকে তাহলে ওই আর্টিষ্টের কাজের অভাব হবে না । আর কাজ মানে অঢেল টাকা । আর টাকা মানে সম্মান সামাজিক খ্যাতি নাম যশ সবই !
জিনিয়া তানিয়াকে জিজ্ঞাস করে , বুঝা গেছে ব্যাপারটা ?
জিনিয়া তানিয়াকে বলে, তুই আর ভালো হইলি না !
তানিয়া জিনিয়াকে বলে, তুই ভালো হইয়া মুড়ি খা আর আমি ডিরেক্টর আর প্রডিউসারদের খুশি কইরা ব্যাংকক যাইগা !